‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল পৌরসভায় স্থাপন করলে পাপ হবে, তাই সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে না’ এমন মন্তব্যের জন্য ফেসবুক লাইভে এসে কান্না জড়িত কণ্ঠে ক্ষমা চাইলেন রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী।
বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির কথা ‘স্বীকার’, লাইভে কাঁদলেন মেয়র আব্বাস
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এরইমধ্যে আইসিটি আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। আহ্বায়কের পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাও মেনে নিয়েছি। আমি তো মানুষ, মানুষ ভুল করতেই পারে। সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চাই, আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই।
আড্ডার ছলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। মাদ্রাসার বড় হুজুরের পরামর্শেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন মেয়র আব্বাস আলী।
সম্প্রতি ১ ঘণ্টা ৪ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে কাটাখালি পৌরসভার সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে দিবেন না এমন মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন মেয়র আব্বাস আলী। এতে ফুঁসে ওঠে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে মেয়র আব্বাস আলীকে অব্যাহতি দিয়ে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা শেষে এ কথা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল সরকারের সভাপতিত্বে জেলার নেতৃবৃন্দ ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply